ঢাকা,বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে গণডাকাতি

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে নারকেল গাছের গুড়ি ফেলে বিভিন্ন যানবাহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২৩ ডিসেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার ও ঝিমংখালীর মাঝামাঝি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ বাস ও ট্রাক চালক শ্রমিকেরা সড়কে এলোপাথাড়ি ট্রাক ফেলে তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে এবং জনদুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে ঝিমংখালী-মিনাবাজার ব্রীজ সংলগ্ন মসজিদের সামনে পৌঁছালে সড়কের পাশে থাকা নারকেল কাঠের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে ১০-১২ জনের সঙ্গবদ্ধ একটি মুখোশধারী ডাকাত দল। ডাকাতরা ভারি অস্ত্র ও কিরিচ নিয়ে পর্যটকবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোসহ ১৫টি গাড়ি আটকে তাঁদের কাছে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

ডাকাতির শিকার টেকনাফ উপজেলা শ্রমিক নেতা নজু মিয়া ড্রাইভার জানান, ঝিমংখালী এলাকায় পৌঁছালে ১০-১২ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল রাস্তায় নারকেল কাঠের গুড়ি ফেলে গতিরোধ করে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। অপর এক বাসের হেলপার ওমর ফারুক জানান, ডাকাতির সময় একটু দূরে থাকা কয়েকজন টর্চ লাইট দিয়ে আমাদের করুন মূহুর্ত দেখছিল কিন্ত কেউ কোন সহযোহিতা এমনকি একটি আওয়াজও দেয়নি। ঘটনার পর লোকজন এসে বলেন মাদক সেবনের টাকার জন্য সড়ক ডাকাতি করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নাইট কোচ চালক জানান, গত এক সপ্তাহে একই স্থানে দুইবার গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমাসের ১০-১৫ বার ডাকাতি হয়। তবে এখানে পুলিশের কোন ভূমিকা থাকেনা। স্থানীয় মেম্বারকে চাপ প্রয়োগ করলে সব বেরিয়ে আসবে। স্থানীয় মেম্বারের ইন্ধনে এসব হচ্ছে এবং ঐ স্থানের বরাদ্দ দেওয়া রাস্তার সৌরবিদ্যুৎ চালিত (সড়কবাতি) টি তার নিজ বাড়ির সামনে লাগান। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহ আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

উল্লেখ্য, টেকনাফ-ককসাবাজর মহাসড়কে এবং হোয়াইক্যং-বাহারছড়া ঢালায় দীর্ঘ দিন ধরে ডাকাতি বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি আবার শুরু হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। গত কয়েক মাসে একই সময়ে একই কায়দায় একই স্থানে ডাকাতরা কোটি টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে গেলেও ওই এলাকায় পুলিশের কোনো তৎপরতা বৃদ্ধি পায়নি। ফলে জনগণের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। হোয়াইক্যং ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত কয়েক দিনের ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। #

পাঠকের মতামত: